পোর্শন কী?
পোর্শন হল নতুন এক ধরনের রসায়ন, যা পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক গবেষণার পর তৈরি করা হয়েছে যাতে মাইট নামে ছোট্ট পোকাগুলোকে তাদের জীবন চক্রের প্রত্যেক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে৷ পোর্শন-এর যে বৈশিষ্ট্য আছে, তার সাহায্যে কৃষকরা প্রাপ্তবয়স্ক মাইটগুলিকে তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেবনই, সেই সঙ্গে এই পোকাগুলোর ডিম লার্ভা বা অপরিণত পোকাগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন৷ এই পোকাগুলোই শস্যের প্রচুর ক্ষতি করে৷ তাই, পোর্শন ব্যবহার করলে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত মাইটকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷.
মাইটের বিরুদ্ধে পোর্শন কী ভাবে কার্যকর হয়?
পোর্শন হল এমন এক ক্ষুদ্রকীটনাশক, যা একটি আইজিআর (কীটের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক) ও জিএবিএ (গামা-অ্যামিনোবিউটাইরিক অ্যাসিড) উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে৷ সোজা কথায়, পোর্শন হল একটি আইজিআর, মানে কীটের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে৷ সেই হিসাবে এটি পোকার ডিম পাড়ার কাজে বাধা দেয়, এমনকি পোকার ছানাগুলোকেও বাড়তে দেয় না৷ এগুলোই সাধারণত পাতা, অঙ্কুর, ফুলের রস শুষে বেঁচে থাকে, তার ফলে শস্যের প্রচুর ক্ষতি হয়৷ কিন্তু পোন এই পোকাগুলোকে তাদের জীবনচক্রের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছতেই দেয় না৷
জিএবিএ (গামা-অ্যামিনোবিউটাইরিক অ্যাসিড) উদ্দীপক হিসাবে এটি প্রাপ্তবয়স্ক মাইটগুলোর স্নায়ুতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়৷ তখন এই পোকাগুলো আর খাওয়াদাওয়া করতে পারে না, তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে, এর পরিণতিতে অবশেষে তাদের মৃত্যু হয়। তাই বলা যায়, পোর্শন সব পর্যায়ের মাইট যেমন ডিম, লার্ভা, অপরিণত ও প্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে৷
মাইট হল উল্লেখযোগ্য অ-পতঙ্গ কীট। যা ভারতীয় কৃষকদের খুব সমস্যায় ফেলে দেয়৷ অপরিণত ও প্রাপ্তবয়স্ক, এই উভয় পর্যায়ের মাইটই ভারতের বিভিন্ন ধরনের শস্য নষ্ট করে দেয়৷ যেমন, লঙ্কা, টম্যাটো, বেগুন, কার্পাস, ধান, চা, লেবু, আপেল, ও বিভিন্ন ধরনের ফুল৷
মাইট হল খুবই ছোট্ট এক ধরনের পোকা, যা হুল ফুটিয়ে গাছের রস শুষে নেয়৷ এই ভাবে তারা শস্যের পক্ষে বেশ বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়৷ এগুলোর দিকে নজর না-দিলে কৃষকদের প্রচুর লোকসান হয় এবং তাঁরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়েন৷
কৃষকরা এই কীটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাকারিসাইড বা ক্ষুদ্রকীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন৷ কিন্তু এগুলো খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এত দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ফেলে যে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়৷
অপরিণত হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, উভয় পর্যায়ের মাইটই গাছের নানা অংশ খেয়ে গাছের অনেক ক্ষতি করে দেয়৷ তাই এই উভয় পর্যায়ের মাইটকেই নিয়ন্ত্রণ করা খুবই আবশ্যিক। সেই জন্য সুমিতোমো কেমিক্যাল ইন্ডিয়া লিমিটেড নিয়ে এসেছে পোর্শন৷ এই একটা জিনিস ব্যবহার করলেই উভয় পর্যায়ের মাইটকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷
সব পর্যায়ের মাইটকে নিয়ন্ত্রণ করে
দ্রুত কুপোকাত করে
ট্রান্সল্যামিনার ও প্রণালীবদ্ধ ক্রিয়া
দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ
যেসব মাইট অন্যান্য রসায়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে, সেগুলোকেও নির্মূল করে
নিয়ন্ত্রণ বাবদ দৈনক খরচ কম
বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায় না
পোর্শন: সব পর্যায়ের মাইটের উপর এর প্রভাব
প্রয়োগ করার জন্য উপযুক্ত সময়: মাইট দেখা দেওয়ার প্রাথমিক অবস্থাতেই (3-5 টি মাইট/পাতা) পোর্শন ব্যবহার করুন
মাত্রা: 180 মি.লি./একর
ছিটানোর জন্য জলের ব্যবহার/একর: 200 লিটার
পোর্শন ব্যবহার করার সময় আগাম সতর্কতা :
পোর্শন ছিটানোর সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ব্যবহার করবেন
মাইট দেখা দেওয়ার প্রাথমিক অবস্থাতেই (3-5টি মাইট/পাতা) পোর্শন ব্যবহার করুন
শস্যের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভাল করে যেন ছিটানো হয়
যদি আপনি পোর্শন কিনতে চান তাহলে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন
সুরক্ষা টিপ্স: